ঠাকুরগাঁওয়ে হস্তের রং তুলিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।
মোঃ মামুন অর-রশীদ,
ঠাকুরগাঁও জেলা থেকেঃ
সময় যত ঘনিয়ে আসছে ঠাকুরগাঁওয়ে পুজা মন্ডপে ততটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন প্রতিমা তৈরির মৃৎশিল্পীরা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীর ভক্তরা দেবীকে বরণ করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইতোমধ্যে।
কারিগররা তুলির শেষ রংটুকু দিয়ে দেবীকে রঙিন করে তুলছেন। কারিগররা বলেন, এবার বৈরী আবহাওয়া না থাকার কারনে কাজগুলো সম্পন্ন করতে তেমন বেগ পেতে হয়নি তাদের।
ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে চলছে দেবী’কে বরণ করার শেষ প্রস্তুতি। পূজার মন্ডপগুলোতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা,সাজসজ্জা এবং মণ্ডপে ডেকোরেশনের কাজ সবখানে প্রায় শেষ পর্যায়ে ।
এদিকে প্রত্যেকটি মন্ডপে ভক্তদের প্রবেশ এবং প্রস্থানের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
মন্ডপের প্রবেশদ্বার হরেকরকমের কারুকার্যে শোভামন্ডিত তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। বাঁশ, কাঠ, কাপড় দিয়ে মণ্ডপের শোভা বাড়ানোর কাজ করছে মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ।
ঠাকুরগাঁও সনাতন ধর্মাবলম্বীর ভক্তদের মাঝে আনন্দের সুবাতাস বইছে। সবাই পূজোর জন্য নতুন জামা-কাপড় কেনার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। উৎসবে মেতে উঠেছে ঠাকুরগাঁও বাসী।
দুর্গা মা এবার আসছে ঘোড়ায় চড়ে,যাবেন নৌকায়। অপেক্ষা মাত্র ২৪ ঘন্টা।
১লা অক্টোবর ভোর থেকে ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
তাই মায়ের আগমনের আনন্দকে আরো কয়েক গুন বাড়িয়ে তুলতে ঠাকুরগাঁও এর মন্ডপগুলোতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
এদিকে মিষ্টান্ন ভাণ্ডারগুলো ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বাহারি রকমের মিষ্টি তৈরিতে। যেহেতু, গত দুই বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দুর্গাপূজার উৎসবের হয়নি তাই এবার উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা করতে চান ঠাকুরগাঁও এর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এ বছর “দুষ্টের দমন সৃষ্টের লালন” এর জন্য এই ধরাধামে দেবী দুর্গার আগমন ঘটবে, বিসর্জন বা দশমীর মধ্যে দিয়ে পূজা-অর্চনার পরিসমাপ্তি ঘটবে।
ঠাকুরগাঁও কালিবাড়ী দুর্গামন্দিরের মৃৎশিল্পী জয়ন্ত রায় বলেন, আমরা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করছি, এবার প্রতিমা তৈরির কাজ করতে তেমন অসুবিধে হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ঠিক সময়ের মধ্যে সকল কাজ সম্পন্ন হবে।
এদিকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, ঈশ্বরের সাকার রুপকে দেব-দেবী বলে। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব,সরস্বতী, লক্ষ্মী, দুর্গা, কালী ইত্যাদি। এ সকল দেব-দেবী ঈশ্বরের বিশেষগুন ও ক্ষমতার অধিকারী। এই শক্তি লাভ করার জন্য আমরা দেব-দেবীর পূজা করি।
পূজা শব্দের অর্থ প্রসংশা করা বা শ্রদ্ধা করা।
পূজা উদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় এবার ৪৭২ টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গোৎসব।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও থাকছেন প্রতিটি মন্ডপে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আতিক হাসান মুঠোফোনে বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের পুলিশ বিট অফিসারদের সমন্বয়ে আইন শৃঙ্খলা কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, এছাড়াও কয়েক স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীর ভক্তরা যাতে নির্বিঘ্নে পূজা-অর্চনা করতে সে দিকটি প্রাধান্য দিয়ে নিরাপত্তার চাদর তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা মোকাবেলার জন্য ষ্টাইকিং ফোর্স মাঠে কাজ করবে।
Average Rating
বিস্তারিত পড়ুন...
আওয়ামীলীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী
বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে বের করে দরজায় তালা ঝোলানোর সত্যতা পাননি ইউএনও
গিলাবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত